top of page

আমার ক্যামেরার প্রথম গল্প

  • Writer: Achyut
    Achyut
  • Oct 13, 2023
  • 7 min read

শেষ পাঁচ বছর এই দেশে কাটানোর সুবাদে অনেক স্মৃতি জমা হয়েছে ক্যামেরা আর মনের লেন্সে। সত্যি কথা বলতে, ছবি তোলার প্রতি আমার আগ্রহ, ভালোবাসা - সবই গড়ে উঠেছে এই সময়ে। আগের পর্বে লিখেছিলাম দক্ষিণ চীনের গুয়াংজু শহরের কথা। ব্যবসা বাণিজ্য ছাড়াও এই শহরের অন্য আর একটা রূপ আছে। আর সেই রূপকে নিজের ক্যামেরায় বন্দী করার ইচ্ছে থেকেই ধীরে ধীরে শুরু হল আমার ফটোগ্রাফি শেখা। আজ তাই লিখতে বসেছি আমার ফটোগ্রাফি শেখার গল্প, এমন এক জায়গায় যেখানে আমাদের চেনা পরিচিত শিক্ষার মাধ্যমগুলো ভীষণ ভাবে অনুপস্থিত।


আজকের এই লেখায় থাকছেঃ

১। ভি পি এন (VPN) নামক এক টেকনোলজির কথা, যা না থাকলে এই পথ চলাই হয়তো হতো না

২। YouTube এর শিক্ষা সম্ভারের বিপুল সমুদ্রে একদম শূন্য থেকে শুরু করা যায় কিভাবে?

৩। ফটোগ্রাফির কোন ভাগ দিয়ে শুরু করলাম? এমন এক ধরণের ছবি যার সম্পর্কে বলা হয়, "শেখা সহজ, আয়ত্ত করা কঠিন"


শুরুর কথা


ক্যামেরা কেনার শখ আমার অনেক দিনের। ছবি তুলতে ভালবাসতাম। এখনও মনে আছে আমার প্রথম কেনা কালো রঙের নিকন ফিল্ম ক্যামেরাটার কথা। তারপর কলেজে পড়ার সময় আমার প্রথম ডিজিটাল কামেরা কেনা। সেটা এতোটাই ছোট, যেখানে যেতাম পকেটে করে নিয়ে যেতাম। সেই ক্যামেরা নিয়ে আমার মামাতো ভাইয়ের সাথে কলকাতা শহরের অনেকটা চষে বেরিয়েছিলাম ছবি তোলার জন্য। ভাইয়ের সেই নেশা সেদিন থেকেই বোধহয় আমার মধ্যেও সংক্রমিত হয়েছিল, নিজের অজান্তেই। আর সব নেশার মতো বেড়েই এটাও বেড়ে চলল সময়ের সাথে। ২০১৮ সালে চীন দেশে আসার পর আমার প্রথম প্রোফেসনাল ক্যামেরা কেনা।


তারপর চারটে বছর কেটে গেছে। এই চার বছরে ক্যামেরা নিয়ে অনেক জায়গায় গেছি, পাহাড় থেকে নদী, জঙ্গল থেকে সমুদ্র - ছবিও তুলেছি অনেক। কিন্তু সেই সব ছবি শুধুমাত্র 'point and shoot' হয়েই থেকে গেছে। ক্যামেরার কতরকমের ফাংশান, কতরকমের ছবি তোলা যায় - কিছুই জানা হয়নি এই চার বছরে।


২০২২ সালে আমার ফটোগ্রাফি শেখার শুরু। করোনার প্রকোপ তখন একটু কম, কিন্তু নিয়ম কানুন শিথিল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই চি কে যে এখানে নিয়ে আসবো, সেই উপায়ও নেই। সপ্তাহের একা কাটানো সন্ধ্যেগুলো আর শনি-রবিবারগুলোর অবসর সময়ের একঘেয়েমি আমাকে শেখাতে শুরু করল অনেক কিছু, যার মধ্যে প্রথম হল ফটোগ্রাফি।


ফটোগ্রাফি শেখার স্কুল আমাদের দেশের মতো এখানেও অনেক আছে। শিক্ষার মাধ্যম চাইনীজ ভাষা। দ্বিতীয় উপায় হল অনলাইনে শেখা, আর অনলাইনে শেখা বলতেই YouTube এর কথা সবার আগে মাথায় আসে। কিন্তু গুগল, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, বা টুইটার এর মতো YouTube এখানে বন্ধ। কেন বন্ধ বা কবে থেকে বন্ধ - সেই সব গল্প অন্য কোনোদিন বলবো। এই সব কিছুর বিকল্প যদিও এখানে আছে, কিন্তু সে সবই চাইনীজ ভাষায়। এখানে অনেকদিন হয়ে গেলো যদিও, ভাষাটা শেখা হয়নি। কোন অজুহাত এর জন্য যথেষ্ট নয়, তা জানি - কিন্তু আমার এখানে কাটানো পুরো সময়টা এতটাই ছোটো ছোটো সময়ে ভাঙ্গা, যে একটু থিতু হয়ে বসে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করবো - তা আর হয়ে ওঠেনি, চাইনীজ ভাষা শিখতে যেটার খুব প্রয়োজন।


চীনে VPN


তাহলে কি করা যায় ফটোগ্রাফি শিখতে? এখানকার বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে YouTube চালানো যায়, VPN নামক একটা সার্ভিস ব্যবহার করে। VPN বা Virtual Private Network কি জিনিস, সেটা একটু বলা দরকার।


A schematic diagram of how VPN works
How VPN works (image from https://www.hostinger.com/tutorials/what-is-vpn)

আমাদের বাড়িতে বা অফিসে ইন্টারনেট যে সংস্থাগুলো দেয়, তাদেরকে এক কথায় বলে Internet Service Provider বা ISP। এই ISP এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমাদের বাড়িতে বা অফিসে বসানো হয় যে যন্ত্র তাকে বলে modem। যখন আমরা এই modem চালু করি, ISP তখন আমাদের একটা ঠিকানা দেয়, যার নাম IP অ্যাড্রেস। এই অ্যাড্রেস পাওয়া মানে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। VPN এই ISP থেকে ইন্টারনেট আসার পথটাকে লুকিয়ে রাখে, যার ফলে আমাদের IP অ্যাড্রেস এবং কোথা থেকে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছি সেটা জানা যায় না। এই কাজটা তারা যার মাধ্যমে করে, তাকে বলে সার্ভার। এই সার্ভার ছড়ানো রয়েছে বিভিন্ন দেশে। তাই এখানে বসে VPN ব্যবহার করে আমরা চীনের বাইরে অন্য কোন দেশের সার্ভারের মাধ্যমে ইন্টারনেট পেতে পারি।


ধরা যাক আমি চীনে আছি এবং আমি এমন একটি ওয়েবসাইট দেখতে চাইছি (ধরা যাক, গুগল) যার সার্ভার রয়েছে আমেরিকাতে। এখন আমার ISP জানবে যে আমি চীন থেকে বসে গুগল এর ওয়েবসাইট দেখতে চাইছি, এবং তারা আমাকে দেখতে দেবে না। এবার আমি যদি VPN চালিয়ে সিঙ্গাপুরে অবস্থিত কোন সার্ভার ব্যবহার করি, তাহলে আমার আমার ISP এবং গুগল - দুজনেই জানবে যে আমি সিঙ্গাপুরে কোথাও আছি। আমার গুগল দেখার আর কোন বাঁধা থাকলো না তখন।


অনেক বিদেশী কোম্পানির VPN আমি ব্যবহার করে ফেলেছি। প্রথম প্রথম করতাম বিনামূল্যে, কিন্তু সেগুলো কখনও কাজ করতো, কখনও বা সার্ভারের সাথে কানেক্টই হতো না। তাছাড়া বিনামূল্যের VPN এ সিকুরিটি ইস্যু হয় মাঝে মাঝেই। আই ডি, পাসওয়ার্ড - এসব জিনিস যেহেতু প্রতি কাজেই লাগে, তাই বিনামূল্যের VPN ব্যবহার করা বন্ধ করলাম। তারপর ক'দিন VPN কিনে ব্যবহার করলাম। ব্যবস্থা অনেকটা আমরা যেরকম অ্যাপ সাবস্ক্রাইব করে ব্যবহার করি, সে'রকম। বেশীরভাগ এই জাতীয় VPN এর সার্ভিস কিনতে হয় এক বছরের জন্য। খরচ পড়ে বছরে প্রায় ১১০ আমেরিকান ডলার, মানে ভারতীয় টাকায় ৯০০০ টাকার মতো। ExpressVPN নামে এরকম একটা সার্ভিস প্রায় এক বছর ব্যবহার করেছিলাম। কিন্তু সেটাও একদিন গণ্ডগোল করতে শুরু করলো। জানতে পারলাম এখানে প্রচুর VPN সার্ভিস নিয়মিত বন্ধ করে দেওয়া হয় সরকারী প্রচেষ্টায়

কি করবো ভাবছি, এমন এক দিনে আমাদের ল্যাবের একটি ছেলে নতুন এক VPN এর সন্ধান দিল। সেটা এই দেশের, নাম Wallless। স্থানীয় লোকজন এই VPN ব্যবহার করে। বুঝতে পারলাম এখানকার লোকজনেরও VPN লাগে বাইরের পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ রাখতে। পয়সা লাগবে, কিন্তু বিদেশী VPN এর থেকে দাম অনেক কম। মাসে মাত্র ২০ RMB, মানে আমাদের ভারতীয় টাকায় ২০০ টাকার মতো। চাইনীজ ভাষায় বলে প্রথম প্রথম একটু অসুবিধে হচ্ছিল, কিন্তু তার পর থেকে আর কোন অসুবিধে হয়নি।


ফটোগ্রাফির তিন স্তম্ভ


YouTube খুলে তো অথৈ জলে পড়লাম। এত রকম ভিডিও আছে, যে কোনটা থেকে শিখতে পারবো - সেটা ঠিক করতেই আরও দুটো দিন চলে গেলো। Photography for beginners দিয়ে সার্চ করেও খুব একটা লাভ হল না। তারপর একটা চ্যানেল পেলাম - নাম Photogenius। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহর থেকে একজন এই চ্যানেলের মাধ্যমে ফটোগ্রাফি শেখান। এখান থেকে আমার হাতেখড়ি। রোজ বিকেলে ল্যাব থেকে ফিরে ১ ঘণ্টা ধরে চলতো আমার ক্লাস।


ফটোগ্রাফি শিখতে গিয়ে তিনটে জিনিষ শিখলাম - ISO, Shutter speed, Aperture। সহজ ভাষায় বলতে গেলে,

  • ISO নিয়ন্ত্রণ করে কতোটা আলো ক্যামেরাতে ঢুকবে আর ফটো কতটা অন্ধকার বা উজ্জ্বল হবে। উজ্জ্বল আলোতে ISO কম, অন্যদিকে যখন কম আলো পাওয়া যায়, তখন বেশী ISO প্রয়োজন হয়।

  • Shutter speed হল কতক্ষণ ধরে ক্যামেরার শাটার খোলা থাকবে। এটি সাধারণত সেকেন্ড, সেকেন্ডের ভগ্নাংশ এবং কখনও কখনও মিনিট বা ঘন্টায় মাপা হয়। যেমন, 1/10 সেকেন্ড 1/1000 সেকেন্ডের চেয়ে বেশী Shutter speed।

  • Aperture হল ক্যামেরার লেন্স কতোটা খুলবে আলো ঢোকার জন্য। Aperture বোঝানো হয় f নম্বর দিয়ে, যেমন f/2.8, f/8. f নম্বর যতো ছোট, ক্যামেরার লেন্স ততো বেশী খোলা - যেমন f/2.8 এ ক্যামেরার লেন্স অপেক্ষাকৃত বেশী খোলা f/8 এর থেকে।


নিজের ক্যামেরাটা এই প্রথম ভালো করে দেখলাম। ফটোগ্রাফির যে এতো রকম ভাগ আছে, যেটাকে বলে genre, সেটাই তো জানতাম না। যতো দেখতে থাকলাম, শিখতে থাকলাম, ততো ভালো লাগতে শুরু করলো কয়েকটা ভাগ। এর মধ্যে একটা genre হল ফুলের ছবি, যাকে বলা হয় Flower Photography


ফুলের শহর গুয়াংজু


গুয়াংজু সাব-ট্রপিক্যাল আবহাওয়া অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায়, এখানে বছরে গড় তাপমাত্রা থাকে ২০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের আশেপাশে। আর তার সাথে হয় প্রচুর বৃষ্টি। এই রকম পরিবেশে বিভিন্ন রকমের ফুল ফোটে এখানে সারা বছর ধরে। বিদেশী ব্যবসা বাণিজ্যের কারণেও বাইরের দেশ থেকে প্রচুর ফুল এখানে আমদানি হয়। সব মিলিয়ে তাই গুয়াংজু শহরকে বলা হয় 'ফুলের শহর' বা City of Flowers। সরকারী উদ্যোগেও সারা শহরে প্রচুর বাগান, রাস্তার দুপাশে বহু পুরনো গাছের সারি, অলিতে গলিতে নার্সারি। এই শহরে কংক্রিটের ধূসর গায়ে তাই সবসময় সবুজের আস্তরণ।

এই ফুলের শহরে থেকে আমার ফটোগ্রাফি শিক্ষার প্রথম উপকরণ ফুল ছাড়া আর কি কিছু হতে পারে? বিখ্যাত ফটোগ্রাফার ডেরেক বয়েড বলেছিলেন,

ফুলের ছবি তোলা ফটোগ্রাফি শেখার জন্য একটা দুর্দান্ত শুরু হতে পারে। তবে এই ছবি তোলা যেমন শেখা সহজ, তাকে আয়ত্ত করা কিন্তু কঠিন।

Photo of a lotus flower
Lotus - a popular flower

আমি Flower Photography র দিকে আকৃষ্ট হই প্রধানত তিনটে কারণে।

১। আমার ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন রকমের ফুলের সমারোহ। রাস্তার ধারে অবহেলায় বেড়ে ওঠা নাম না জানা ছোট্ট ফুলটা হোক, কিংবা সাজানো বাগানে বাহারের টবে রাখা আমাদের অতি পরিচিত ফুল হোক। আমার ক্যামেরায় সব নাম, সব গোত্র, মুছে যাক, শুধু থেকে যাক ফুল শব্দটা - এই ছিল আমার প্রথম অনুপ্রেরণা।


২। দ্বিতীয়ত, ছবি তোলা আয়ত্ত করতে হলে প্র্যাকটিস করা দরকার। বাড়ির চারপাশে এতো নার্সারি, ঘর সাজানো থেকে শুরু করে আমার ফটোর সাবজেক্ট - ফুল ছাড়া আর কিই বা হতে পারে?


৩। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, খুব বেশী কিছু ক্যামেরার জিনিসপত্র প্রয়োজন নেই এই ফটো তুলতে। একটা DSLR ক্যামেরা তো আছে, আর ক্যামেরা কেনার সময় দেওয়া একটা লেন্সও আছে, যাকে বলে কিট লেন্স। বাড়িতে ফটো তোলার জন্য একটা সস্তার ট্রাইপড কিনলাম। আর একটা কালো কাপড়। বাড়িতে টিউব লাইটের আলোয় ছবি তুললে যাতে কালো কাপড় অতিরিক্ত আলোটা শুষে নেয়। বাইরে ছবি তোলার জন্য একটা রিফ্লেক্টর কিনলে ভালো হতো, যাতে সূর্যের আলোকে ঠিক ভাবে প্রতিফলিত করা যায় ফুলের ওপরে। কিন্তু থাক, আপাতত এই তিনটে জিনিস দিয়েই শুরু হল আমার ফুলবন্দী খেলা।


Photo of a wild flower
Photo of a roadside flower - isn't it beautiful?

এখনও মনে আছে, প্রথম দিকে একটা ফুলের ছবি তুলতে প্রায় আধ ঘণ্টা মতো সময় লাগতো। বাইরে ছবি তুললে আরও কিছুটা বেশী। কারণ হাওয়ায় ফুলগুলো দুলতো, আর তার ফলে কিছুতেই ফোকাস করতে পারতাম না। আসতে আসতে জানলাম এই রকম ক্ষেত্রে Shutter speed বাড়িয়ে দিতে হয়, যাতে ক্যামেরার শাটার অল্প সময়ের জন্য খুলে আবার বন্ধ হয়ে যায়। যেমন ১/১০০ সেকেন্ড Shutter speed রাখা মানে ক্যামেরার শাটার ওই ভগ্নাংশ সেকেন্ডের জন্য খুলে বন্ধ হয়ে যাবে। ওইটুকু সময়ের মধ্যে ফুলের হালকা হাওয়ায় দোলা ছবিতে ধরা পড়বে না।


কিন্তু এতো অল্প সময় ক্যামেরার শাটার খুললে কি যথেষ্ট আলো ঢুকতে পারবে? সেটাও তো দরকার। অতএব Aperture বড় করতে হবে, অতএব f নম্বর কমিয়ে আনতে হবে। এই সব হিসেব নিকেশ করে, বিভিন্ন Shutter speed, Aperture দিয়ে ছবি তুলতাম। বড় Aperture দিয়ে ছবি তুললে আরও একটা জিনিস হতো - ফোকাস করা ফুলের পেছনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে যেতো। ঝাপসা শব্দটা না বলে বোধহয় নিষ্প্রভ শব্দটা বেশী যুক্তিযুক্ত এখানে, যাকে ইংরেজিতে বলে background blur। কেন এমনটা হয়, কি ভাবে করা যায় বা করা উচিৎ, আসতে আসতে শিখতে থাকলাম। আর হ্যাঁ, ক্যামেরা ধরার টেকনিক শিখলাম, যাতে হাত না কাঁপে।


যত দিন গেলো, যত বিভিন্ন জায়গায় ছবি তুলতে লাগলাম, তত বেশী করে বুঝতে শুরু করলাম কোন পরিস্থিতিতে কি রকম লেন্স দরকার হয় ভালো ছবি তোলার জন্য। একটা উদাহরণ দিই এখানে।


একটু আগে বললাম, বেশী Shutter speed এ ছবি তোলার সময় f নাম্বার বড় করতে হবে যাতে যথেষ্ট আলো ক্যামেরায় ঢুকতে পারে। সমস্ত লেন্সের একটা নির্দিষ্ট f নাম্বার থাকে। যেমন ক্যামেরার সাথে দেওয়া কিট লেন্সের সব থেকে বেশী f নাম্বার ৩.৫। একদিন আমি এমন এক জায়গায় ছবি তুলছি যেখানে উঁচু গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো ঢোকে না বললেই চলে। এই রকম ক্ষেত্রে f নাম্বার বাড়ানো উচিৎ, কিন্তু আমার লেন্সে তো ৩.৫ এর বেশী হবে না। বুঝতে পারলাম অল্প আলোয় ছবি তুলতে হলে এমন লেন্স দরকার যাতে f নাম্বার আরও বাড়ানো যায়।


এই ভাবে ধীরে ধীরে প্রয়োজন মতো লেন্স কেনা শুরু। প্রয়োজনের সাথে সাথে ক্যামেরার আরও কিছু জিনিস কিনতে হয়েছে, আসতে আসতে সংগ্রহ বেড়েছে। আরও অনেক রকমের ফটো তোলার চেষ্টা করেছি। যেমন, macro photography র নেশা আমাকে পেয়ে বসে। একদিন সেই ছবির গভীর দুনিয়াটা নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। কিন্তু যত কিছুরই ছবি তুলি না কেন, ফুলের ছবি প্রথম প্রেমের মতো আজও আমার চিরসঙ্গি। আমার অ্যালবামে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, যাদের অধিকাংশের পরিচয় আমার কাছে শুধু 'ফুল' বলে।


কয়েকটা লিঙ্কঃ

আমার অ্যালবাম - https://achyutbanerjee.smugmug.com/

আমার Flower Photography - https://achyutbanerjee.smugmug.com/Flora

আমার ক্যামেরা - Nikon D5300 (https://www.nikonusa.com/en/Nikon-Products/Product/dslr-cameras/D5300.html)

কয়েকটা VPN এর নামঃ

Free VPN - Windscribe https://windscribe.com/


Photogenius YouTube channel: https://www.youtube.com/@photogenius

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating
bottom of page